জুলাই সনদ একটি রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল। এই রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল কখনোই সংবিধানের ওপরে প্রাধান্য পেতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় আপত্তির একটি জায়গা।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘যদি জুলাই সনদ সংবিধানের ওপরে রাখা হয়, তাহলে তা ভবিষ্যতের জন্য খারাপ নজির হবে। জুলাই সনদ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না বলা হয়েছে- এটাও সঠিক হয়নি।’
অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে চায়। এ জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠানো হবে। যেন নির্বাচন কমিশন আগামী রমজানের আগে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জুলাই ঘোষণাপত্র ৫ আগস্টের মধ্যে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি।
জুলাই মাসের মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জুলাই সনদ চূড়ান্ত করতে চায় বলে জানিয়েছেন কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
জুলাই সনদ তৈরির প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও দৃশ্যমান রাখতে নির্দেশনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘এক বছর আগে যখন আমরা সবাই মিলে প্রত্যেক রাজনৈতিক দল, দলের ঊর্ধ্বে উঠে সব রকম বাধা বিঘ্নকে মোকাবিলা করে রাজপথে নেমেছিলেন। যে অর্জন আমরা করতে চেয়েছি একটি পর্যায়ে অতিক্রম করে আজকে এক বছর পর সমবেত হয়েছি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের বৈঠকের উদ্দেশ্য দূরত্ব ঘুচিয়ে জুলাই সনদে আরও কিছু যোগ করা।
যেকোনো নির্বাচনে যাওয়ার আগে দৃশ্যমান বিচার ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন দেখতে চান বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘শুধু নির্বাচনই নাগরিক পার্টির এই মুহূর্তে একমাত্র দাবি নয়, তার আগে আমরা দৃশ্যমান বিচার কার্যক্রম দেখতে চাই।’